শিরোনাম :
বইপ্রেমীদের বইয়ের সাথে পরিচয় নামে আলোচনা অনুষ্ঠিত বইপ্রেমীদের বইয়ের সাথে পরিচয় নামে আলোচনা অনুষ্ঠিত যে মুরগি আড়াই বছর বেঁচে ছিল মাথা ছাড়া রোজা শুরুর আগেই লেবু-শসার-বেগুনে দামে আগুন ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের শাকিবের ভিডিও নিয়ে যা ভাবছে ভক্তরা হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল ছিনতাই-সংক্রান্ত ভিডিওটি সর্তকতামূলক শুটিংয়ের দৃশ্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জনস্রোত, অপেক্ষায় নতুন দলের আত্মপ্রকাশের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জনস্রোত, অপেক্ষায় নতুন দলের আত্মপ্রকাশের বিএনপির ২ নেতা অংশ নেবে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক দলের জনসমাগম নিয়ে যা জানালেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী

যতোটা সম্ভব নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি : দুদক

  • আপডেট সময় : বুধবার, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
  • 9 পাঠক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলে স্বাধীনভাবে কাজ করার মাত্রা আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘সব ধরনের স্বাধীনতারই তো একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের যতটুকু স্বাধীনতা আছে, তার মধ্যেই যতোটা সম্ভব ভালোভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুদকের গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, পাবনার সহযোগিতায় এই গণশুনানির আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান।

আগের আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক মামলার পরিণত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘নিপীড়নমূলক, নির্যাতনমূলক শোষণমূলক মামলা যেগুলো হয়েছে তাদের পরিণতি কি? এগুলো নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। আমরা যদি সেই ধারাটা অব্যাহত রাখি তাহলে আমাদেরও তো সেই একই রকম পরিণতি হবে। ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুদকের কাজ হচ্ছে বিচারের জন্য তৈরি করে দেওয়া। বিচার করে আদালত। পাবনা সবসময় একটি প্রতিবাদী জেলা। এই প্রতিবাদটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরো বেশি হওয়া উচিত। যাতে দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে পাবনা জেলা আগে দুর্নীতিমুক্ত জেলা হয়।

পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ। এছাড়াও বক্তব্য দেন, দুদক রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক কামরুল আহসান, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মহাপরিচালক আখতার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ। গণশুনানিতে ১৫৭টি অভিযোগ জমা পড়লেও দুদক তফসিলভুক্ত ৫৭টি অভিযোগ আমলে নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা অভিযোগ তুলেন ধরেন। তাৎক্ষণিকভাবে সেই অভিযোগ জবাব দেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

গণশুনানিতে সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগের বেশিরভাগই ছিল জমিজমা কেন্দ্রিক। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস ও স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির নানা অভিযোগ উঠে আসে। সেগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন।

ইব্রাহিম হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ভূমি অফিসে চাকরি করে ৫ হাজার টাকা বেতন পেয়ে কর্মচারীরা কিভাবে ৫তলা বাড়ি করেন। আর আমি দীর্ঘবছর ইতালি থেকেও আজ পর্যন্ত ৫তলা বাড়ি করতে পারি নাই। আমার মায়ের জমি নিয়ে মাসের পর মাস সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। পাবনার সেটেলমেন্ট অফিসের সকল কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

চর বোয়ালিয়া গ্রামের মজিবর রহমান নামের একজন অভিযোগ করেন, ’ভূমি অফিসের লোকজন অর্থের বিনিময়ে জমি লিখে দেন। টাকা দিলে সহজেই কাজ হয়ে যায়। আর টাকা না দিলে মাসের পর মাস ঘুরায়। ফোন করে টাকা চেয়েছেন আমার কাছে। আমাকে বলা হয়েছে, আপনার কাবিন আছে, বউ নাই। অথচ আমার প্রতিপক্ষের কাবিন নাই, সে বউ নিয়ে ঘুরছে। এটা কি অন্যায় নয়। এটা তো অবৈধ।’ পরে ঢাকা থেকে একদল বিশেষজ্ঞ টিম পাঠিয়ে জমি সংক্রান্ত সকল অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কমিশন।

এরকমভাবে গণশুনানীতে পাবনার বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস, জেনারেল হাসপাতাল, নির্বাচন অফিস, সাব রেজিস্টার অফিস, বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কম্পানিসহ বিভিন্ন সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানারকম হয়রানির অভিযোগ ‍তুলে ধরেন সেবা প্রত্যাশীরা। অভিযোগগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেয় কমিশন।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *