ধমক খাওয়ার পর বুকে জড়িয়ে নিলেন জেলেনস্কিকে

  • আপডেট সময় : রবিবার, মার্চ ২, ২০২৫
  • 11 পাঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধমক খেয়ে আমেরিকা থেকে সোজা ব্রিটেনে চলে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাদানুবাদের এক দিনের মাথায় তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাল ব্রিটেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার জেলেনস্কিকে দেখেই বুকে জড়িয়ে ধরেন।

১০, ডাউনিং স্ট্রিটে অভ্যর্থনা জানানো হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। পরে ইউক্রেনের সঙ্গে ২.৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি ঋণের নথিতেও স্বাক্ষর করেছে ব্রিটেন প্রশাসন।

স্থানীয় সময় শনিবার (১ মার্চ) লন্ডনের ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জেলেনস্কি এবং স্টার্মারের বৈঠক হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।

এ সময় ব্রিটেনের কাছেও ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান জেলেনস্কি, ধন্যবাদ জানান স্টার্মার এবং ব্রিটেনের মানুষকে।

স্টার্মার জানান, তার দেশ ইউক্রেনের পাশেই আছে। কারণ ইউক্রেনে শান্তি ফেরা ব্রিটেনের জন্যও জরুরি। জেলেনস্কিকে তিনি বলেন, ডাউনিং স্ট্রিটে আপনাকে স্বাগত। বাইরের রাস্তা থেকে আপনি নিশ্চয় লোকজনের উচ্ছ্বসিত চিৎকার শুনেছেন। ব্রিটেনের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে। আমরা সবসময় ইউক্রেনের পাশে থাকব।

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরে স্টার্মার জানান, ইউক্রেনে সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী তারা দু’জনেই। এটি ইউক্রেনের জন্য তো বটেই, ব্রিটেন তথা সমগ্র ইউরোপের জন্যই জরুরি।

ডাউনিং স্ট্রিটে বসেই ব্রিটেনের চ্যান্সেলর র‌্যাচেল রিভস ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। প্রতিরক্ষা ঋণে স্বাক্ষর করে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক ব্যর্থ হওয়া এবং হোয়াইট হাউসে তাদের বাদানুবাদের কথা প্রকাশ্যে আসার পর ইউরোপ পাশে দাঁড়িয়েছিল ইউক্রেনের।

ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তার এক দিন পরেই ব্রিটেনে সাদর অভ্যর্থনা পেলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান।

আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এবং সেই সংক্রান্ত আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তার।

ইউক্রেনের খনিজে আগ্রহী ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশটিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে আমেরিকা রাজি হয়নি। তারা কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটার পরামর্শ দেয়। তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি জেলেনস্কি।

ট্রাম্প বৈঠক চলাকালীন মেজাজ হারান। জানিয়ে দেন, লাখ লাখ মানুষের জীবন এবং তৃতীয় যুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন জেলেনস্কি। তার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।

খনিজ চুক্তির পাশাপাশি বাতিল হয়ে যায় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনও। জেলেনস্কি অবশ্য পরে জানিয়েছেন, ট্রাম্প তথা আমেরিকার সমর্থন তার বড্ড প্রয়োজন।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *