হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ভারতে পালিয়ে সেলফি পাঠিয়েছে হামলাকারী

  • আপডেট সময় : সোমবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
  • 52 পাঠক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ভারতে পালিয়ে গেছেন—এমন দাবি আগেই করেছিলেন আল জাজিরার প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। এবার তিনি আরও একটি নতুন দাবি সামনে এনেছেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের দাবি করেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সাল করিম মাসুদ সেলফি তুলে তা বিভিন্ন নম্বরে পাঠিয়েছেন।

পোস্টে সায়ের লেখেন, ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির ঘটনায় জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক আলমগীর হোসেন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে তিনি দাবি করেন, এরপর আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব ফয়সাল করিম মাসুদকে একটি ভারতীয় মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দেন।

ফেসবুক পোস্টে একটি ভারতীয় নম্বরও উল্লেখ করেন তিনি (+৯১৬০০১৩৯৪০** )। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ওই নম্বর ব্যবহার করে ফয়সাল করিম মাসুদ গতকাল রাতে কয়েকটি নম্বরে নিজের সেলফি পাঠান। সায়েরের দাবি, যেসব নম্বরে ছবিটি পাঠানো হয়েছিল, তার একটি ইন্টারসেপ্ট করে ছবিটি সংগ্রহ করা হয় এবং সেটি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।

প্রেস উইং আরও জানায়, ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। পাশাপাশি তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *