জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের অত‍ি ঘনিষ্ঠ

  • আপডেট সময় : রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
  • 57 পাঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসনে এবার প্রথমবারের মতো একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা নিয়ে গঠিত খুলনা-১ আসনে কৃষ্ণ নন্দীকে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের অত‍ি ঘনিষ্ঠ।

জানা যায়, কৃষ্ণ নন্দী পেশায় ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। পৈত্রিক নিবাসও সেখানেই। চুকনগর দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তিনি পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন। মোটরসাইকেল শোরুম, তেল, রড-সিমেন্ট ও টিনের ব্যবসা ছিল তার। পারিবারিকভাবে তার বাবা মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুরের অনুসারী ছিলেন।

কৃষ্ণ নন্দীর দাবি, ২০০৩ সালে খুলনা-১ আসনের সাবেক জামায়াতের এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ারের হাত ধরে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।

এদিকে কৃষ্ণ নন্দীর রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে বিতর্কও কম নয়। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের অত‍ি ঘনিষ্ঠ এই কৃষ্ণ নন্দী কিভাবে জনপ্রিয় স্থানীয় জামায়াত নেতা শেখ আবু ইউসুফকে হটিয়ে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেলেন সেটা নিয়ে অনেকেই বেশ দ্বিধান্বিত।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষ্ণ নন্দী ছিলেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠজন। মন্ত্রীর সঙ্গে তার বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে আছে।

প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে কৃষ্ণ নন্দীর উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বস্ত সূত্র মারফত নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিশেষ একটি সংস্থার সঙ্গে কৃষ্ণ নন্দীর নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিপন কুমার বসুর সঙ্গে কৃষ্ণ নন্দীর অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রমাণ হিসেবে শিপন ও কৃষ্ণ নন্দীর কিছু ছবিও শেয়ার করে সায়ের জানিয়েছেন, একই বৈঠকে ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

চুকনগর এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ক্ষুব্ধ জনতা কৃষ্ণ নন্দীকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ মনে করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে আগুন দেয়। নিজেকে বাঁচাতেই এখন জামায়াতের ঘাড়ে বসেছেন তিনি।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ঘনিষ্ঠতার কথা অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মন্ত্রী হওয়ার পর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দেওয়া ছবি নিয়ে এখন কাদা–ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ২০০৩ সাল থেকেই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুবান্ধব মনোভাবের কারণেই তিনি এ দলের প্রতি আস্থাশীল।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *