সোনাইমুড়ি প্রতিনিধি –
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী বাজারে আবাসিক হোটেলে ধর্ষিত হয় এক স্কুলছাত্রী (১৬)। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই স্কুলছাত্রীকে বাঁচাতে হাসপাতালে গিয়ে তাৎক্ষণিক রক্ত দিয়েছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন ও থানার এএসআই আরমান।
গত ২৭ জুন রবিবার রাতে সোনাইমুড়ী বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শরিফুল ইসলাম নূরসহ (২৬) দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত শরিফুল ইসলাম নূর চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অারেকজন হোটেলের ম্যানেজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শরিফুল ইসলাম নূর ও ওই স্কুলছাত্রী সোনাইমুড়ী বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনাইমুড়ীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করে।
তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় রাতেই সোনাইমুড়ী থানার ওসি ও একজন এসআই তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেন। বর্তমানে সে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মো. আব্দুল আজিম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাত থেকে তাকে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো আছে।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি মেয়েটির সঙ্গে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যেহেতু ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে এবং পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেছে তাই তদন্ত করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সোমবার ভোরে সোনাইমুড়ী নদনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম নূরকে আটক করা হয়েছে। রাতেই ওই হোটেল থেকে ম্যানেজারকে আটক করা হয়। ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
Leave a Reply