ইউএনআরডব্লিউএ’র হুঁশিয়ারি শীতের আগমনে গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে

  • আপডেট সময় : রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
  • 104 পাঠক

শীতের আগমনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। জরুরি আশ্রয় ও শীতের সামগ্রী প্রবেশে ইসরায়েলের বাধার কারণে বিপদে পড়েছেন লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত মানুষ।

এমনটাই জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। শনিবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, শীতপ্রবণ গাজায় আশ্রয় ও উষ্ণতার প্রয়োজন দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য নির্ধারিত তাঁবু, কম্বল ও অন্যান্য শীতকালীন সামগ্রী এখনো জর্ডান ও মিসরে ইউএনআরডব্লিউএ গুদামেই আটকে আছে।

বিবৃতিতে সংস্থাটি মানবিক সহায়তা অবাধে প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কান এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে দেবে না।

এর এক দিন আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছিল, গাজার ফিলিস্তিনিরা যথেষ্ট পরিমাণ মানবিক সহায়তা পাচ্ছেন না এবং ইসরায়েলকে অবশ্যই সহায়তা প্রবেশে অনুমতি দিতে হবে। একই সঙ্গে তারা ‘অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ করাও বন্ধের নির্দেশ দেয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে করা নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও গাজায় পণ্য ও ত্রাণ প্রবেশে কড়াকড়ি বজায় রেখেছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতেই এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

এর প্রথম ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং পরবর্তী ধাপে গাজা পুনর্গঠন ও হামাসবিহীন একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের কথা রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে শেয়ার করুন...

এ বিভাগের আরো খবর....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *