মোহাম্মদ ফরিদ, চাটখিল নোয়াখালী-
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নে প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তার রিনা (২৯) চাটখিল থানায় অভিযোগ করেন গত ২১/১০/২০২০ তারিখ ভোরে নোয়াখোলা ইউনিয়নে সন্ত্রাসী মুজিবুর রহমান শরীফ(৩২) ভিকটিমের বসত ঘরে জোর পূর্বক প্রবেশ করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে, বিবস্ত্র করে ভিকটিমের নাবালিকা মেয়ের সামনে ধর্ষন করে। ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি, ভিডিও চিত্র ধারন করে।
ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে চাটখিল থানার মামালা নং ২০ তাং ২১/১০/২০২০ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ও পর্ণগ্রাফি এ্যাক্টের ৮ (১)ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
মামলা রুজুর পরই চাটখিল থানার একটি অভিযানিক দল গত বুধবার নোয়াখোলা ইউনিয়ন থেকে মজিবুর রহমান শরীফ (৩২)কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ নিজের নিকট পিস্তল থাকার কথা স্বীকার করে। শরীফের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে শরীফের বসত ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে ০২ টি মোবাইল,একটি ইতালির তৈরী পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ করেন চাটখিল থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শরীফের অফিস রুম থেকে বিয়ারের খালি ক্যান,১ কার্টুন কনডমের বক্স,০৩ টি মোবাইল সেট এবং শরীফের মালিকানাধীন গ্রীল ওয়ার্কসপ থেকে একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ওই গৃহবধূর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণোগ্রাফি মামলার সাথে অস্ত্রও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, শরীফের বিরুদ্ধে আগেও পুলিশ পরিচয়ে ধর্ষণের অভিযোগ একাধিক ধর্ষণ,ডাকাতি,মাদকসহ আরো ৭-৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাটখিল থানা পুলিশ।
শরীফ নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ঘটনার পর পর চাটখিল উপজেলা যুবলীগ তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply